জিলহজের (Jil Hajj) প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং আমল

( Jil Hajj) মহান আল্লাহ পাক কুরআনে সূরা ফজর এরশাদ করেছেন শপথ রাত্রির। রাইসুল তাফসির হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে এসেছে যে, এখানে ১০ রাত্রি বলতে জিলহজের প্রথম দশদিনের কথা বোঝানো হয়েছে। ( তাফসিরে ইবনে কাসীর)

রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, বছরের শ্রেষ্ঠ বছরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে এই জিলহজের দশদিন।

(বুখারী)

মহান আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব এবং জিকির করার জন্য এই দশদিন হচ্ছে সবচাইতে উত্তম দিন।

এই দশদিনের মধ্যে একটি দিন হচ্ছে আরাফার দিন। এই দিনে মহান আল্লাহতায়ালা ইসলামকে আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আরাফার দিনে যদি কেউ নফল রোজা থাকে তাহলে সেটি সেই ব্যক্তির পূর্বের এবং পরের এক বছরের সমস্ত গোনাহ মিটিয়ে দেয়।

এই দশ দিনের মধ্যেই ইসলামের অত্যন্ত বড় একটি রুকন হজ সম্পন্ন হয়ে থাকে।

যে আমলসমূহ করা উচিত

১। সাওম বা রোযা রাখা


জিলহজের দশদিন এর প্রথম নয় দিন নফল রোজা রাখা অত্যন্ত বড় একটি ইবাদত। মহান আল্লাহতাআলা ঘোষণা করেছেন,

…সাওম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব।

( বুখারী ও মুসলিম)

২। বেশি বেশি তাহলীল তাকবীর এবং তাহমিদ পড়া

তাহলীল হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তাকবির হচ্ছে আল্লাহু আকবার, তাহমিদ হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ এবং তাসবীহ হচ্ছে সুবহানাল্লাহ। জিলহজের প্রথম দশ দিনে এই জিকির বেশি বেশি পড়া। সূরা হজ্জে আল্লাহ তাআলা বলছেন,

যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।

(২২ঃ২৮)

এখানে আল্লাহর নাম স্মরণ বলতে তাহলীল, তাকবীর, তাহমিদ এবং তাসবীহ বোঝানো হয়েছে।

এই সুন্নাত আজকাল বিলুপ্তপ্রায়। নিয়ম হল জিলহজের প্রথম দশ দিন থেকেই জোরে জোরে উচ্চস্বরে এইগুলো পড়া শুরু করা। হযরত ইবনে উমার এবং আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এই দিনগুলোতে বাজারে যেতেন এবং উচ্চ স্বরে তাকবীর গুলো পাঠ করতেন। যাতে অন্যরাও তা শুনে পাঠ করা শুরু করতে পারে।

৩। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা

কুরআনের প্রতিটা অক্ষর তেলাওয়াত করলে ১০ টি করে নেকী পাওয়া যায়। কেউ যদি পড়ে আলিফ লাম মিম, তাহলে সে তিনট অক্ষর পড়ল। এই তিনটি অক্ষরে কমপক্ষে ত্রিশ নেকি পাওয়া যাবে। এর জন্য অর্থ বোঝা শর্ত নয়।

৪। সঠিকভাবে সুন্নত নামাজ, নফল নামাজ আদায় করা।

দৈনিক ১২ রাকাত সুন্নত নামায গুলো ভালোভাবে খুশু খুযুর সাথে আদায় করা। এছাড়াও ইশরাক বা দুহার নামায, তাহাজ্জুদ নামায আদায় করা।

৫। বেশি বেশি দান-সাদকা করা

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

যে ব্যাক্তি হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সা’দকা করবে, (আল্লাহ তা কবূল করবেন) এবং আল্লাহ কেবল পবিত্র মাল কবূল করেন আর আল্লাহ তাঁর ডান হাত দিয়ে তা কবূল করেন। এরপর আল্লাহ দাতার কল্যাণার্থে তা প্রতিপালন করেন যেমন তোমাদের কেউ অশ্ব শাবক প্রতিপালন করে থাকে, অবশেষে সেই সা’দকা পাহাড় বরাবর হয়ে যায়। ব

ুখারী-১৩২৭

৬। দাওয়াতি কাজ করা

মহান আল্লাহ্‌ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন,

যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?

(৪১ঃ৩৩)

৭। বেশি বেশি ইস্তেগফার এবং তওবা করা

মহান আল্লাহ্‌ পাক কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।

(৭১ঃ১১-১২)

৮। সারা পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য দোয়া করা।

এই গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল থেকে আমরা অনেকেই আজ মাহরুম। সহীহ মুসলিমে এরশাদ হয়েছে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,

যখন তোমাদের কেউ অপর মুসলমান ভাইয়ের জন্য দুয়া করে, তখন তার জন্য নিযুক্ত ফেরেস্তাও এই বলে দেয়া করে যে, তোমার জন্য ও এরুপ।

(মুসলিমঃ ২৭৩২)

৯। গুনাহ থেকে নিজেদেরকে যথাসাধ্য হেফাজতে রাখা।

গুনাহ অন্তরে কালিমা ফেলে দেয়। ফলে সেই অন্তর আর ভাল নেক কথা গ্রহণ করতে পারেনা। তাই এই দশদিনের ফায়দা হাসিল করতে হলে গুনাহ ছাড়তে হবে।

https://musafiron.com/product-category/islamic-books/

Qahwa-Gaowa-গাওয়া-কাহওয়া-قهوة ৳ 1,600.00 ৳ 1,500.00 Add to cart Sale! Sary Natural Honey , 1kg ( খাঁটি প্রাকৃতিক মধু) ৳ 1,700.00 ৳ 1,500.00 Add to cart

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *